নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে গৃহবধূ তৃপ্তি মণ্ডলকে হত্যা মামলার আসামি পরকীয়া প্রেমিক হারপিক পানে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী শংকর মল্লিক (৬২) অবশেষে ১৩দিন পর মারা গেছেন। গত ৪ অক্টোবর তিনি নিজ বাড়িতে হারপিক পান করেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শংকর মণিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের মুকুন্দ মল্লিকের ছেলে। তৃপ্তিকে হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা হয়েছিল।
তৃপ্তি মন্ডল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি শংকর মল্লিক নিজের বাড়িতে হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক তাকে ওয়াশ করে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠান। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে পুলিশ পাহারায় তার চিকিৎসা চলছিল।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, ভর্তির পর থেকে শংকর মল্লিকের অবস্থা গুরুতর ছিল। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, তৃপ্তি মন্ডলকে হত্যার ঘটনায় তার অবনিশ মন্ডল বাদী হয়ে শংকর মল্লিকের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। তৃপ্তি মন্ডলকে হত্যার দুইদিন পর শংকর মল্লিক হারপিক পান করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর দুপুরে কৃষ্ণবাটি গ্রামের ভ্যান চালক অবনিশ মণ্ডলের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী তৃপ্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে শংকর মল্লিক। ঘটনার সময় ওই গৃহবধূ কৃষ্ণবাটি মাঠ থেকে ঘাস (গোখাদ্য) কেটে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। এক সন্তানের জনক শংকরের সাথে তৃপ্তির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি শংকর তাকে বিয়ে করতে চাইলে তৃপ্তির নামে ভিটেবাড়ি লিখে দেওয়ার দাবি করেন। শংকর রাজি না হলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শংকর তাকে (তৃপ্তি) হত্যা করে।