নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমবার দিপান্বিতা অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে আনুষঙ্গিক মাঙ্গলিক ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। একইসাথে অনুষ্ঠিত হয় অলক্ষ্মীপূজা শেষে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীপূজা। এছাড়া অমাবস্যার এ তিথিতে যশোরে দীপাবলি বা দীপদান তথা আলোক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির আনয়নে ভক্তবৃন্দ-এ মহাশক্তির বন্দনা করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাশক্তির আরাধনায় সব অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে অন্ধকার থেকে আলোর পথ সুগম হয়।
এদিন সন্ধ্যায় যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ ক্যাম্পাসে আলোক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ মাইকেল মধুসূদন কলেজ শাখার উদ্যোগে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১০৮টি প্রদীপ ও একহাজার ৮টি মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে আলোকিত করা হয় কলেজ প্রাঙ্গণ।
এছাড়া পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর পৌর শাখার উদ্যোগে শহরের লালদিঘিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হয় আলোক উৎসব। এ সময় সহস্রাধিক যদি প্রজ্জলন করে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম এর উপাধ্যক্ষ আত্ম মহানন্দজী মহারাজ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টা মন্ডলী সহ ভক্ত অনুরাগীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, যশোর পৌর এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যতিক্রমী মন্দির-মণ্ডপে পূজা প্রাঙ্গণমুখী দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
সার্বজনীন ও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ছাড়াও যশোর শহরে শতাধিক দৃষ্টিনন্দন পূজা মন্দির ও মণ্ডপে এবার পূজা উদযাপন হয়েছে।
এদিকে যশোর পৌর এলাকায় এবারও শতাধিক মন্দির ও মণ্ডপে দীপাবলি উৎসব ও শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদের মধ্যে রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন, নীলগঞ্জ মহাশশ্মান মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, মুড়লী জোড়া মন্দির, বেজপাড়া পূজা সমিতি মন্দির, পুরোনো কালীবাড়ী মন্দির, মাড়ুয়া মন্দির, শ্রীধর পুকুরপাড় মণ্ডপ, সুধীর ঘোষের কাঠগোলাস্থ মন্দির, গয়ারাম রোডের মন্দির-মণ্ডপ, চুড়িপট্টী, বারান্দীপাড়া, রাঙামাটি গ্যারেজ, সিটি কলেজ পাড়া, নীলগঞ্জ সুপারি বাগান ভক্তবৃন্দে বিমোহিত করবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন আয়োজকবৃন্দ।