মিরাজুল কবীর টিটো: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক অধিশাখার যুগ্ম সচিব এ এফ এম এহতেশামূল হক বলেছেন- মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত বসানো হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে সকল চাকরির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করার কার্যক্রম শুরু হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের আওতাধীন স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিদর্শন বাংলোর সম্মেলন কক্ষে সোমবার এ শুনানীর আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন- মাদকদ্রব্যের কারনে সমাজ ও পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারী-শিশু নির্যাতন দমনে যেমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তেমন মাদকদ্রব্য মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত বসানো হবে, এ প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বিশেষ আদালত বসানো হবে। তবে মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে পিতামাতাকে সন্তানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরী। তবেই যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মাদকের ক্ষতিকর বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে দলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও পরিকল্পনা) আবুল কালাম আজাদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমান।
যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানা, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহম্মেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আসলাম হোসেন, কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সহভাপতি নূর ইসলাম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী বেলাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক নূরই আলী নূর মামুন, সাংবাদিক তৌহিদ জামান, মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মঈন উদ্দিন, এনজিও কর্মী শাহজাহান নান্নু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ।