ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: কয়েকদিন পরেই বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করতে যাবে ৬৬৫ জেলে। এলক্ষ্যে সোমবার পর্যন্ত ডুমুরিয়ায় আর্টিসানাল নৌযানের অনুপতিপত্র প্রদান করা হয়েছে ৫৭জন ট্রলার মালিককে। এই প্রথম সাগরে মাছ ধরার নৌযানের অনুমতিপত্র পেলো ডুমুরিয়ার এসব জেলেরা। এরআগে কতগুলো ট্রলার যেত তার সঠিক পরিসংখ্যান ছিলো না। জেলের নিরাপত্তাসহ ছোট নৌযানে মৎস্য আহরণে জড়িত জেলেদের জীবিকা ও এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
জানা যায়, ২৫ অক্টোবর সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কাটলেই বঙ্গেপসাগরে ঢুকে পড়বেন ছেলেরা। ডুমুরিয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৬৯৫জন ছেলে রয়েছে। তারমধ্যে ৬৬৫জন জেলে সাগর থেকে মাছ আহরণ করে থাকে। এসব জেলেরা এতদিন অনুমতিবিহীন নৌযান নিয়ে সাগরে যেত। এবার সরকারিভাবে মেরিন ফিশারিজ আওতায় ৩ বছরের জন্য আর্টিসানাল নৌযানের অনুমতিপত্র প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত দুই মাস ধরে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ডুমুরিয়ার ৫৭টি আর্টিসানাল নৌযানের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান জানান, অনুমোদিত ট্রলার নিয়ে জেলেরা এবার নির্বিগ্নে এবং কোন ভোগান্তি ছাড়া সাগরে মাছ আহরণ করতে পারবে। ইতিপূর্বে ডুমুরিয়া থেকে কয়টা মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যেত তার নথিভুক্ত কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই মৎস্য অধিদপ্তরে। যার কারণে ডিভাইসের আওতায় ছিলোনা এসব জেলেরা। ফলে ঝুঁকির মধ্যে এযাবত সাগরে অবস্থানসহ মাছ আহরণ করে এসেছে ডুমুরিয়ার জেলেরা। এখন থেকে সরকারের সব ধরণের সুবিধা পাবে এরা।