নিজস্ব প্রতিবেদক: ১২ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যশোর জেলার জনসংখ্যা ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৪ জন। যশোরে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার সকালে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করা হয়।
‘সবার জন্য মান সম্মত পরিসংখ্যান’ প্রতিপাদ্যে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবুল হোসেনের তথ্য উপস্থাপনে জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী যশোর জেলার জনসংখ্যা ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৪ জন। জেলার প্রতি বর্গকিলোমিটারে জন সংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ১৮০। পুরুষ মহিলা অনুপাত ৯৮ দশমিক ২৪ শতাংশ, পরিবারের প্রতি গড় সদস্য সংখ্যা ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার জেলায় ২০ শতাংশ। এর মধ্যে বেশি কেশবপুর উপজেলায় ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া শার্শায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, সদরে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, মনিরামপুরে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, ঝিকরগাছায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ, চৌগাছায় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, বাঘারপাড়ায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ ও অভয়নগরে ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন- যে কাজ করি না কেন সেই কাজের মান কি সেই ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। তা না হলে কোন কাজে গুরুত্ব দিতে হবে,সেটা নির্ধারণ করা যাবে না। কোন সেক্টর থেকে দেশে আয় বেশি হবে সেটা পরিসংখ্যনের মাধ্যমে জানা যাবে। এর বাইরে অনেক মানুষ আয় করে সেটা দেখানো হয় না। পরিসংখ্যানে দেখানো হয় দেশে মানুষের নাজুক অবস্থা, বাস্তবে তা নয়। এটা দেখে বিদেশে মানুষ ধারনা করে বাংলাদেশের মানুষ গরিব। তাই সক্ষমতাকে হাইলাইট করতে হবে।
জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন প্রমুখ।
এর আগে কালেক্টরেট চত্বরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।