Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒আইএলওর তিন কনভেনশনে সই করলো সরকার

দিনটি দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর , ২০২৫, ০১:১৫:৩৫ এম

স্পন্দন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশনে সই করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কনভেনশন তিনটিতে সই করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

কনভেনশনগুলো হলো- পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ১৫৫ নম্বর কনভেনশন; কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নয়নে প্রচারণামূলক কাঠামোবিষয়ক ১৮৭ নম্বর কনভেনশন এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধবিষয়ক ১৯০ নম্বর কনভেনশন।

এর মধ্যে ১৮৭ ও ১৫৫ নম্বরকে ২০২২ সালে মৌলিক কনভেনশন হিসেবে গ্রহণ করে আইএলও।

এসব তথ্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কনভেনশন তিনটিতে অনুসমর্থন করাটা শ্রমিকদের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এই অনুসমর্থন শ্রম খাতের সব সামাজিক অংশীদারদের আন্তর্জাতিক শ্রমমান যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবে।

সরকার বলছে, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলওর ১০টি মৌলিক কনভেনশনে অনুসমর্থন জানালো।

দিনটি দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

২০১৩ সালের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর তৎকালীন সরকার সব কিছুতে রাজি হলো। কিন্তু যা করবে বলেছিল, সেগুলোর কিছুই হয়নি। শুধু ‘হচ্ছে, হবে’ করেই চলছিল। আমরা বললাম, ‘হচ্ছে-হবে’ আর নয়, এটা আমরা করেই যাব।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমার প্রথম দৃষ্টি ছিল শ্রম অধিকারে। বারবার বৈঠক করলাম। সবখানে বলতে থাকলাম যে, এটা করতেই হবে। এটাতে স্বাক্ষর করা মানে আমাদের সবার উপকার। আমাকে বলা হলো, আগামী জেনেভা বৈঠকে যেতে হবে। আমি বোঝার চেষ্টা করলাম অতীতে কেন কেউ গেল না।”

সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এক দীর্ঘ যাত্রার পর গন্তব্যে পৌঁছালাম। এটা প্রথম ধাপ উত্তরণ হলো। কাগজে সই করেই কাজ শেষ না, কাজ কেবল শুরু। যে ওয়াদা করলাম, সেটা পালন করতে হবে। কনভেনশনে কী কথা বলা আছে, কোন অধিকারের কথা আছে, সেটা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সবাইকে সচেতন করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ তা একটা গন্তব্যে পৌঁছালো, অন্তত কাগজের অংশটুকু শেষ করলাম। রানা প্লাজার শ্রমিকরা তাদের জীবন দিয়ে যে দায়িত্ব আমাদের ওপর দিয়ে গেছে, সেটার এক ধাপ পার হলো।

“আমি নিজের কাছে নিজে ওয়াদা করেছিলাম, এটা করবই। আজ আনন্দ পাচ্ছি যে একটা পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে এটা সঠিকভাবে সর্বত্র বাস্তবায়ন করতে পারলে।”

শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আজ অন্তর্বর্তী সরকারের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এ কাজে সবাই ভীষণ পরিশ্রম করেছেন। সে কারণেই সাফল্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সবার দিনরাত পরিশ্রমের ফলেই এ সাফল্য এসেছে।”

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “এ যাত্রা সহজ ছিল না, কিন্তু আনন্দদায়ক ছিল। জেনেভা কনভেশনে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা অতুলনীয়। সবাই ভীষণ পরিশ্রম করেছেন, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

কনভেনশন তিনটিতেই সই করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার, শ্রমিক ও আইন প্রয়োগকারীদের সঙ্গে মিলে কনভেশনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আইএলও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

শ্রম আইন সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শ্রম সনদ (লেবার চার্টার) গ্রহণেরও পরামর্শ দেন তিনি।

কনভেনশনে সই করার সময় অন্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)