Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

সূর্যের দেখা মেলেনি, হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর , ২০২৫, ১০:০৯:৪৭ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা শীতের দাপটে নাকাল যশোর। গত ক’দিনের হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা দু’দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পর গত দু’দিন ব্যারোমিটারের পারদ সামান্য উর্ধ্বমুখী হলেও শীত কমেনি। বরং গত দু’দিন সূর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশা আর উত্তরের বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সোমবার যশোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও শুক্রবার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’দিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে।
যশোরে গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠেছে। কিন্তু মেঘলা আকাশ, কুয়াশা ও বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে তীব্র আকারে। এখন শেষ রাত থেকে শুরু করে ভোর দিকে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। বেলা বাড়লে মাত্রা অনেকটা কমে আসলেও হালকা ধরণের কুয়াশা চোখে পড়ছে। এছাড়া সূর্য মেঘের আড়ালে থাকায় বেড়েছে ঠান্ডার দাপট।
আবহাওয়া অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরাঞ্চলে পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ব্যারোমিটারের পারদ নেমে গেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আর সেই সাথে গত কয়েকদিন ধরে বিরাজ করছে কুয়াশা ও বাতাসের দাপট। দুইয়ে মিলে কাঁপন লেগেছে হাড়ে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) যশোরের তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো যশোরে। রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১১ দশকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর সোমবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গত দু’দিনে দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশা আর উত্তরের বাতাসে হাড়ে কাঁপন অব্যহত রয়েছে।
এদিকে গায়ে কাঁপন ধরানো ঠান্ডায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকূলেরও জবুথবু অবস্থা। শীতের দাপটে সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জীবন জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে তাদের রুটি রুজির সন্ধানে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে ভোরের আলো ফুটতেই কাজের জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন।
শহরের দড়াটানায় রিকসাচালক আমিরুল জানালেন, ‘কুয়াশা আর উত্তরের বাতাশের কারণে শহরে লোকজন কম, যাত্রীও মিলছে না। শীতের জন্য রিকশায় কেউ উঠতে চায় না। তবুও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর ছেড়ে বের হতে হচ্ছে।’
তীব্র ধরণের এই ঠান্ডার কারণে কৃষকরা বোরের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কাও করছেন। প্রচন্ড এই ঠান্ডা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে বীজতলা ‘কোল্ড স্ট্রোকে’ বিনষ্টের দুশ্চিন্তা করছেন। আলু ও সরিষার যারা আবাদ করেছেন তারাও ঠাণ্ডা ও কুয়াশায় চারা নষ্টের আশঙ্কা করছেন।
জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলায় রবি ফসল, বোরো ধানের বীজতলা এবং মৌ খামারিদের মধু সংগ্রহে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। জেলার আট উপজেলার মাঠে সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল এবং বোরো ধানের বীজতলা রয়েছে।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের ফসল সুরক্ষায় আগাম সতর্কতা ও করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে কোনো ক্ষতি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়।’

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)