নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদরের ফতেপুর গ্রামে বিধবা সোনাভান বিবি মামলায় পুত্র ও পুত্রবধূকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুইজনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত আসামিরা হলো- নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন ও তার স্ত্রী ইভা খাতুন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ফতেপুর গ্রামের মরহুম আলতাফ হোসেনের স্ত্রী সোনাভান বিবির প্রথম ঘরে আলমগীর হোসেন নামে এক ছেলে ছিল। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আলতাফ হোসেনের ওরসে আরও একটি ছেলে ও মেয়ে আছে। ৭ বছর আগে সোনাভান বিবির স্বামী আলতাফ হোসেন মারা যাওয়ার পর তিনি ফতেপুরে বসবাস করেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার আগে বেশ কিছু সম্পত্তি তার নামে রেখে যান। ওই সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাগ্নে আরিফ ও মনিরুলের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সোনাভান বিবি তার ছেলেদের নামে আদালতে মামলাও করেন। চলতি বছরের ১১ জুলাই আলমগীর হোসেন বাড়িতে গিয়ে সোনাভান বিবিকে খুঁজে না পাওয়ায় বিষয়টি তার মামা এজাহার খাকে জানান। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পরদিন সকালে এজাহার খা পাশের সন্নাসী বটতলা এলাকার একটি ছবেদার বাগানের মধ্যে মাটি খোঁড়া দেখে পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে তার বোন সোনাভান বিবির লাশ উদ্ধার করে। কে বা কারা তার বোনকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে তা গুমের চেষ্টা করেছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এজাহার খা অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতের পুত্র ও পুত্রবধূসহ আরও দুইজনকে আটক করেছিল। আটক পুত্র আরিফ ও পুত্রবধূ ইভা খাতুন জমি লিখে না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে মা সোনভান বিবিকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় পুত্র ও পুত্রবধূকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আটক নয়ন হোসেন ও তরিকুল ইসলামের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত পুত্র আরিফ হোসেন ও তার স্ত্রী ইভা খাতুনকে আটক দেখানো হয়েছে।