তালায় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সাংবাদ সম্মেলন

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:১০:৪৪ পিএম

তপন চক্রবর্তী, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই সভাপতি প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে কপোতাক্ষ টাইমস কার্যালয়ে শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ইন্দ্রজীৎ দাশ বাপি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। অন্যদিকে (৩ মার্চ) বিকালে তালা ডাকবাংলো হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন সভাপতি প্রার্থী এস কে কামরুল ইসলাম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপীকে নিয়ে নানা ধরণের অভিযোগ তুলে ধরেন। ওই সব অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি করা হয়েছে।

কামরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বলেছন, জেঠুয়া জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা তার পিতা মরহুম আব্দুল মালেক। এদিকে ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ও বিগত দিনের দুর্নীতি, অনিয়ম ঢাকতে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন সাবেক সভাপতি এস কে কামরুল ইমলাম ও প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিক সম্মেলনে এস কে কামরুল ইসলাম তার পিতা কে প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা দাবি করেন, যা আদৌ সত্য নয়। বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন শেখ কামাল উদ্দীন। আব্দুল মালেক যে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার নাম খাঁন এ সবুর জুনিয়ার স্কুল।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছেন। তার দুর্নীতির খতিয়ান বেরিয়ে আসবে বলে সাবেক সভাপতিকে নির্বাচিত করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। প্রধান শিক্ষক অবৈধ ভাবে  সাবেক সভাপতিকে নির্বাচিত করানোর চেষ্টা করলে আমি তার প্রতিবাদ করি। এই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাঞ্চিতের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্ঠা করছেন। প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান একজন নিরক্ষর ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি পদে প্রার্থী করিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, দূর্ণীতি ঢাকতে ও আর্থিক অনিয়মের জন্য বর্তমান সভাপতিকে পাশ কাঁটিয়ে সাবেক সভাপতির স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নয়-ছয় করেছেন। তিনি এ সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। প্রধান শিক্ষকের পক্ষপাতিত্বের কারণে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিত করেন।