বিল্লাল হোসেন : ‘রাস্তায় রাস্তায় আমি ভিক্ষা করে বেড়াতাম, রাস্তা থেকে তুলে এনে প্রধানমন্ত্রী আমারে ঘর দেচে। আমি এখন সুখে শান্তিতে আছি।’ একথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আসা ভিক্ষুক হযরত আলী। শুধু হযরত আলী নন এধরনের আবেগ অনভুতি প্রকাশ করেছেন উপকারভোগী অনেকেই।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোরের শার্শা উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী রয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৯ জন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে অসহায় মানুষগুলো এসব সুবিধা পেয়েছেন। এ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয়। উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত সুবিধাভোগীদের অনেকেই আনন্দ অশ্রুর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। প্রকাশ করেন মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা আবেগ।
পরে উলাশী বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা হযরত আলী শার্শার সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মানুষের কাছে ভিক্ষা করে সংসার চলতো। জায়গাজমি ও ঘরবাড়ি না থাকায় বেনাপোল গাজীপুর এলাকার মৃত মিনহাজ আলীর বাড়ি মা ও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ শতক জমি ও ২ রুমের ঘর করে দিয়েছেন। এতে তিনি ব্যাপক খুশি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, কখনো তার সামর্থ্য ছিলোনা জমি কিনে দালানঘর করার। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে মা ও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বসবাস