নিজস্ব প্রতিবেদক : তিনটি দিবস শেখ কামালের জন্মদিন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৫, ৮ ও ১৫ আগস্ট দিবস তিনটি পালন করা হবে। মঙ্গলবার সকালে কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে এই সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নানা আয়োজনে ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ কাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিন পালন করা হবে। এদিন সকাল ৯টায় কালক্টরেট চত্বরে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও যুব ঋণ প্রদান করা হবে। বেলা ১১ টায় কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে হবে আলোচনা সভা। বিকেলে ছাত্রদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ স্টেডিয়ামে ও জিমনেসিয়ামে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা হবে। জনবহুল এলাকায় তথ্য অফিস শেখ কামালের জীবনীর ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করবে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দৃষ্টিনন্দন ব্যানার টাঙানো জবে। জোহর নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া হবে। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে বেলা ১১টায় বঙ্গমাতার জীবনী নিয়ে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ হবে। বেলা ১২টায় অসহায় মহিলাদের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। বাদ জোহর বিভিন্ন মসজিদের দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম হবে। জনবহুল এলাকায় তথ্য অফিস বঙ্গমাতার জীবনীর ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করবে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শিক্ষকেরা কালো ব্যাচ ধারন করবেন। শিশু একাডেমি শিক্ষার্থীদের হামদ-নাথ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ১৫ আগস্ট সূর্যাদ্বয়ের সাথে সাথে সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু মুর্যালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। জনবহুল এলাকায় তথ্য অফিস প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করবে। বেলা ১১ টায় কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে আলোচনা সভা হবে। জেনারেল হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালিত হবে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এসএম শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যশোরের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, রবিউল আলম, এইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, আব্দুস সবুর হেলাল ও আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ প্রমুখ।