অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশায় নওয়াপাড়াসহ আশপাশের মানুষ বিকল্প পথে ঢাকায় যাতায়াত শুরু করেছে। বর্তমানে নওয়াপাড়া-ভৈরব ব্রিজ হয়ে ধোপাখোলা মোড় দিয়ে ঢাকায় যেতে সময় লাগছে মাত্র ৩ ঘণ্টা। ফলে এই পথটি যশোর, খুলনা, উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভৈরব ব্রিজ হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন এই পথ ব্যবহার করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় শংকরপাশা খেয়াঘাট থেকে নাপতীর মোড় পর্যন্ত ১৮ ফুট প্রশস্ত করে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। তবে নড়াইলের নাপতীর মোড় থেকে গোবরা মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা এখনো সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ। এই অংশটি মাত্র ১২ ফুট চওড়া হওয়ায় প্রতিনিয়ত যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা।
বর্তমানে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ পরিবহণ কোম্পানির বাস এই বিকল্প পথে ঢাকা যাতায়াত করছে। এছাড়া ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এই পথ দিয়ে চলাচল করছে। মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করলে খুলনা বিভাগের সাথে ঢাকার যোগাযোগ সহজ হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
নওয়াপাড়া বাজার খুলনা ও উত্তরবঙ্গের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। নওয়াপাড়া থেকে বছরে প্রায় ২০-৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে।
শংকরপাশা গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম গাজী বলেন, ভৈরব উত্তর ও দক্ষিণ জনপদ দীর্ঘদিন অবহেলিত। এই সড়ক প্রশস্ত হলে ওই অঞ্চলের মানুষ বহু সুবিধা পাবে।
নওয়াপাড়া সার, সিমেন্ট ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল হোসেন বলেন, ভৈরব ব্রিজ হয়ে মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন করা হলে ঢাকার সাথে সরাসরি দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে শিল্পাঞ্চল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র নওয়াপাড়া নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী নাসমুল হুদা বলেন, ‘আমরা ১৮ ফুট পর্যন্ত কাজ করেছি। এর বেশি আমাদের এখতিয়ার নেই। সড়ক ও জনপদ বিভাগ যদি নেয়, তাহলে বড় আকারে উন্নয়ন সম্ভব।’
যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ‘নওয়াপাড়া ভৈরব ব্রিজ থেকে নড়াইলের ধোপাখোলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি মাস্টারপ্ল্যানে রয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজের পরিকল্পনা নেয়া হবে।’