স্পন্দন ডেস্ক: ভোটের সময় পর্যবেক্ষক হতে এইচএসসি পাস বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
এতে পর্যবেক্ষকদের সর্বনিম্ন বয়স আগের থেকে চার বছর কমিয়ে ২১ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের নীতিমালা বাতিল ও আগের ৯৬টি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করে এবার নতুন নীতিমালা জারি করল এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।
এখন নতুন নীতিমালার আলোকে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেবে ইসি।
আগে পর্যবেক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এসএসসি বা সমমান এবং পর্যবেক্ষকদের বয়স ছিল ন্যূনতম ২৫ বছর।
সহকারী জনসংযোগ পরিচালক মো. আশাদুল হক বলেন, এবার পর্যবেক্ষণ নীতিমালায় বেশ কিছু নতুন সংযোজন আনা হয়েছে। একই সঙ্গে সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নিবন্ধন পাওয়া পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ভোটের আগে ও পরে তিন দিন নিজেদের পর্যবেক্ষককে নিয়োজিত রাখতে পারবে বলে বলা হয়েছে।
>> পর্যবেক্ষকদের বয়স ২১ (একুশ) বা তদূর্ধ্ব হতে হবে;
>> ন্যূনতম এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে;
>> নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান তিন দিনের জন্য (নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও পরের দিন) পর্যবেক্ষক নিয়োজিত রাখতে পারবে।
উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন জানিপপের
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এর আগে যেসব পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেগুলোর নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
নতুন নীতিমালার বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, “শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি, ন্যূনতম বয়স ২১ ও পর্যবেক্ষণ মোতায়েন তিন দিন- এ বিষয়গুলো ইতিবাচক। তবে ইতোপূর্বে উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন দিলে নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয়টি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি।”
তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে গত তিনটি নির্বাচনের বিষয় যদি কমিশন আমলে নিয়ে এ ধরনের বিষয় যুক্ত করে থাকে তাহলে তা ঠিক হবে না, এক্ষেত্রে গত ১২টি নির্বাচনের বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন’ কথার মধ্যে ফাঁক রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করে কয়েক দশকের অভিজ্ঞ এ পর্যবেক্ষক বলেন, “এ ’উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদনের দিয়ে থাকলে নিবন্ধন না দেওয়ার’ কথা বলা মানে, অনেক অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষককে এবার বাইরে রাখার একটা অপচেষ্টা হতে পারে। এ ধরনের বিধান যুক্ত করা ঠিক হয়নি।”
একটা সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধমে এবং ‘শত ফুল ফুটতে দাও’- এমন দর্শনকে সামনে রেখে পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়ার পরামর্শ দেন জানিপপ চেয়ারম্যান।