নিজস্ব প্রতিবেদক: শার্শার বহুলালোচিত গৃহবধূ গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে যশোরের পিবিআই। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রতন মিয়া।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, শার্শার মৃত আশরাফের ছেলে ইমরান হোসেন, তরিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম জীবন, মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান, আজগর আলীর ছেলে মোরশেদ আলম শান্ত ওরফে ইমদাদুল ও মতিয়ার রহমানের ছেলে রিফাদ হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী একজন ট্রাক চালক। বছরের অধিকাংশ সময়ে তিনি বাড়ির বাইরে থাকেন। আসামিরা গৃহবধূর প্রতিবেশী। আসামি ইমরান হোসেন প্রায় তাকে কুপ্রস্তাব দিত। ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি গভীর রাতে ইমরান হোসেন গৃহবধূর কক্ষে প্রবেশ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ইমরান ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় ধর্ষণ করত। পরবর্তীতে ইমরান বিষয়টি আসামি শফিকুল ইসলাম জীবনকে জানায়। এ ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আসামি জীবনও তাকে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ইমরান ও জীবন নগ্ন ভিডিও অপর আসামিদের দেয়। তারা ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নিরুপায় হয়ে গৃহবধূ তাদের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করে। আসামিদের প্রতারণর বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি যশোর পিবিআইকে জানায়। পিবিআই প্রাথমিক তদন্ত ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের আটক করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল ৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে আলাদা চার্জশিট জমা দিয়েছেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম জীবন ও হাবিবুর রহমানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।