নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বর্বরোচিত সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, আজ যারা এনসিপি করছেন তাদের নেতৃত্বের আন্দোলনে দেশটা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে তাদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা দেশের মানুষ মেনে নেবেন না। জামায়াতে ইসলামী এই ন্যাক্কারজনক হামলা মেনে নেবে না। যারা এই হামলা করেছে তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে তারা আমাদের গর্বিত সন্তান। তারা জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমাদের কথা বলার অধিকার এনে দিয়েছে। তাদের কাছে আমরা ঋণী। যে রাজনৈতিক দল এনসিপি’র সমালোচনা করছে, তাদের ভেবে দেখতে হবে এই সুযোগে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা তৃতীয় পক্ষ হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। রাজনৈতিকভাবে এনসিপিকে কটাক্ষ করছেন, সংস্কার করতে দেন না, ফ্যাসিবাদের বিচার চান না। আপনাদের কর্মকাণ্ডের কারণে আবারও যেন অতীতের মত কোন স্বৈরাচারের উত্থান বাংলাদেশে না হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা বেলাল হুসাইন, মাওলানা রেজাউল করিম, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অফিস সেক্রেটারি নুর-ই-আলা নূর মামুন, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, সদর উপজেলা আমির আশরাফ আলী, শহর নায়েবে আমির মাওলানা ইসমাইল হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আহম্মেদ ইব্রাহিম শামীম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য আবুল হাশিম রেজা।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।