উৎপল বিশ্বাস, নেহালপুর : মণিরামপুরে ঘের থেকে চার দিয়ে মাছ চুরির অভিযোগে মশিয়ার রহমান (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে স্থানীয় জনতা আটক করে একটি গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার নওশের মোড়ে। মশিয়ার রহমান উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বলে জানা গেছে। স্থানীয় মৎস্য চাষী আনিচ, কামরুল, মান্দার ও আনোয়ারের অভিযোগ, মশিয়ার রহমানসহ কয়েকজন জিন্দার বিলের ঘেরের বেঁড়ির গোপন স্থানে বসে বিভিন্ন ঘের থেকে প্রতিনিয়ত চার ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরে আসছে। এ সংবাদ ঘের চাষীরা জানতে পেরে মাছ চোর ধরার জন্য তারা গোপনে পাহারা দিতে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শ্যামনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ঘেরে মশিয়ারসহ কয়েকজন জোর করে চার ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল। এ সময় মৎস্য চাষীরা মিলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় জনগণ নওশের মোড়ে মশিয়ারকে ধরে এনে একটি গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। যা মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, এ সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে বিচারের আশ্বস্ত করে মশিয়ারকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা দড়ি খুলে দিয়ে স্থানীয়দের হেফাজতে রেখে চলে যান। তবে বিকেলে স্থানীয় হুজুর আনিচ নামে একনেতা জানান, মশিয়ারের ধরে আনার পর পুনরায় আনোয়ারের ঘের লুটপাট করার অভিযোগে ওই এলাকা থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে সন্ধ্যায় নওশের মোড়ে জনতার আদালতে বিচার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তার পিতা কাশেমসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মশিয়ার মুরগির ব্যবসা করে আসছিল। ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক কারণে গোপালপুর বাজারে তার অবস্থিত দোকানটি ভেঙে দেয়া হয়। এরপর বাড়ি থেকে সে মাঝে মধ্যে মাছ ধরতে যেত। তবে সে চোর না, ষড়যন্ত্র করে তাকে চোরের অপবাদ দেয়া হচ্ছে।