ফরহাদ খান, নড়াইল : নড়াইল জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষসহ সামাজিক সংগঠনগুলো। নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে সম্মিলিত সামাজিক জোটের ব্যানারে এই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর দেশের ছয় জেলায় নতুন ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর এ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশ করে ইউজিসি। এর মধ্যে নড়াইলে ‘এস এম সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) স্থাপন করার সুপারিশ করেছে ইউজিসি। শিল্পী এস এম সুলতানের স্মৃতিবিজড়িত স্থান হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে গত ২২ অক্টোবর দৈনিক স্পন্দনের শেষ পৃষ্ঠায় ‘এস এম সুলতান বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন, সংগ্রহশালা পর্যটনবান্ধন ও সুলতান ঘাট নির্মাণ দাবি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। এই খবরে ‘এস এম সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এদিকে, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন-সম্মিলিত সামাজিক জোটের আহবায়ক কবি ও সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম। ছাত্রনেতা শাফায়াত উল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন-জোটের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব জাকারিয়া খান, সেচ্ছাসেবী এস এম ইরফানুল বারী উজ্জ্বল, মুহাদ্দিস হোসেন বাপ্পা, সাইফুল ইসলাম বকুল, নাসির, শাকিল উদ্দিনসহ অনেকে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-ছাত্রনেতা আল আমিন মন্ডল, আমিরুল ইসলাম রানা, শাহারুল আলম, আব্দুল কাদের, রসিকুল ইসলাম, আকাশ শেখ, সাব্বির প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কবি ও সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখসহ অনেক গুণীজনের জন্মস্থান। ক্রীড়াঙ্গনেও নড়াইল জেলার অনেক অবদান রয়েছে। তবে, শিক্ষায় বরাবরই অবহেলার শিকার নড়াইল জেলা। পদ্মা ও মধুমতি সেতু চালুর পর সড়ক যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। নড়াইল শহর থেকে ঢাকার দুরত্ব মাত্র ১৪০ কিলোমিটার হওয়ার সুবাদে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি সহজে যাতায়াত করা সম্ভব। তাই নড়াইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সড়ক পথে সহজে শিক্ষার্থীরা এখানে (নড়াইল) পড়তে আসতে পারবেন। সঙ্গতকারণে, নড়াইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ে আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্রজনতা রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে।