কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ ) প্রতিনিধি : প্রায় এক বছর আগে একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য পুরাতন রাস্তায় খনন কাজ শুরু করে ঠিকাদারের লোকজন। কিন্তু মাস খানেক খোড়াখুড়ি শেষেই লাপাত্তা হয়ে যায় ঠিকাদার। এটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা সিংগী বাজার থেকে মঙ্গলপৌতা বাজার পর্যন্ত ২৯৯০ মিটারের নির্মাণাধীন একটি গ্রামীণ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভুক্তভোগী সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ঝিনাইদহ জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণকাজ করছেন মেসার্স মিজানুর রহমান নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিংগী বাজার থেকে মঙ্গলপৌতা বাজার পর্যন্ত সড়কের পুরাতন অংশ খুঁড়ে ফেলে রাখা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নতুন নির্মাণকাজ বন্ধ। এঅবস্থায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকার মানুষদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, সরকারি ব্যাংক ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে এসব গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে এ অঞ্চলের মানুষকে প্রতিদিনই নানান দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী মেগুরখির্দ্দা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হাসান বলেন, প্রায় এক বছর আগে রাস্তাটি খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে বড় কোনো যানবাহন আমাদের গ্রামে ঢুকতেই পারে না। অথচ কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
এলজিইডি সূত্র জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্টে কাজ শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের প্রথম দিকে কিছু কাজ শুরু করার পর আর অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমানের স্বত্বাধিকারী মো. রানা বলেন, নতুন ইট উঠলে কাজ শুরু করবো। তাছাড়াও অসুস্থতার কারণে কাজ চালিয়ে যেতে পারিনি বলেও যোগ করেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ বলেন- ঠিকাদারকে বারবার চিঠি পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আমাদেরও অসহায় পরিস্থিতির শিকার হচ্ছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদ বলেন-এমন ঘটনাটি আপনার মাধ্যমেই প্রথম জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।