Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

শহিদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এখন সময়: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর , ২০২৫, ০৫:৫৬:৩১ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বুধবার ১০ ডিসেম্বর শহিদ সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৫৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা তাকে ঢাকার চামেলীবাগের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। শহিদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী ও বার্তা সম্পাদক। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার প্রথম শিকার হন সিরাজুদ্দীন হোসেন। শহিদ সাংবাদিক বুদ্ধীজীবী সিরাজুদ্দীন হোসেন পৈত্রিক বাড়ি মাগুরার শালিখার শরুশুনা গ্রামে।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ যশোরের বাঘারপাড়ার খাজুরা সরকারি শহিদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে বেলা আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুর বাসভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিটিশ আমলের শেষভাগ থেকে শুরু করে তার সাংবাদিকতা জীবন স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত ব্যাপ্ত। এই পুরো সময়কালে দেশের সকল আন্দোলনের সঙ্গে তার ছিল সরাসরি যোগাযোগ। তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে এ দেশের বঞ্চিত মানুষের কথা অসাধারণ দক্ষতায় সংবাদপত্রের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
১৯৭১ সালে অবরুদ্ধ এই দেশে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে গেছেন। সে সময় তার লেখা ঠগ বাজিতে গাঁ উজাড়, অধুনা রাজনীতির কয়েকটি অধ্যায় ধরনের উপসম্পাদকীয় এবং এতদিনে শিরোনামে সম্পাদকীয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে তার দৃঢ় অবস্থানের সাক্ষ্য দেয়। তিনি প্রবাসী সরকারের কাছে পূর্ব পাকিস্তনের আমেরিকান কনসুলেটের গোপন রিপোর্টটি পাঠিয়েছিলেন, যা পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বার বার প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল।
১৯৫২ সালে দৈনিক আজাদের বার্তা সম্পাদক থাকা অবস্থায় মহান ভাষা আন্দোলনের স্বপক্ষে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে তার অসাধারণ কীর্তি বলে পরিগণিত। শহিদ সিরাজুদ্দীন হোসেন এ দেশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জনক। ইত্তেফাকে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ফলে ১৯৬২ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের কুখ্যাত ছেলেধরা দল ধরা পড়ে। মুক্তি পায় ৭২ শিশু। সিরাজুদ্দীন হোসেন ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট এ্যাওয়ার্ডে (আইপিআই) মনোনয়ন লাভ করেছিলেন। আইপিআই বুলেটিনেও এই সাফল্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন তৎকালীন সানডে টাইমস ও পরবর্তীতে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক হ্যারল্ড ইভান্স।
শহিদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের অসাধারণ হেডিং বাঙালী জাতির রক্তে আগুন ধরিয়ে দিত। চিনিল কেমনে, সুকুইজ্জা কডে, জয় বাংলার জয়, জনতার জয় হইয়াছে, বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন এবং দুই পাকিস্তানের ভারসাম্যহীনতাকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করে যে হেডিং করেছেন তা পাঠককের হৃদয়ের গভীরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)