Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

আইডিয়া স্পোকেন-দ্য গেইম মেথডে ওরিন্টেশন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা

এখন সময়: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ০৯:৩৯:১০ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৩ মাসে খেলার ছলে ইংরেজি শেখা এবং ইংরেজিতে তুখোড় বিতার্কিক আইডিয়া স্পোকেন-দ্য গেইম মেথডের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার আয়োজিত হলো যশোরস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়া স্পোকেন-দ্য গেইম মেথড’র ২৮ তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। ২৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হলো এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া স্পোকেন-দ্য গেইম মেথড’র প্রতিষ্ঠাতা সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মো. হামিদুল হক । তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ সমাজের কাছে এখনো ইংরেজি শেখা একটি ভীতিকর বিষয়। এর মূল কারণ আমরা জানি না যে ভাষা শিক্ষা মূলত খেলতে খেলতে হয়! ছোটবেলায় আমরা আমাদের মাতৃভাষা শিখেছি খেলতে খেলতে। অথচ ইংরেজি ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রে আগে আমরা শিশুদের গ্রামার শেখায়। এই ভ্রান্তিই কাটানোর চেষ্টা করেছি আইডিয়া স্পোকেন-দ্য গেইম মেথড এর মধ্যে দিয়ে। যেখানে শিক্ষার্থীরা খেলতে খেলতেই ইংরেজি বলা শিখছে, শিখছে ইংরেজিতে তুখোড় বিতর্ক ও উপস্থাপনা। গত ২৭ টি ব্যাচ সফলতার সাথে পার করে যাত্রা শুরু হলো ২৮ তম ব্যাচের।“ উল্লেখ্য ‘আইডিয়া স্পোকেন’ থেকে অর্জিত শতভাগ অর্থ আর্ত মানবতার সেবার ব্যয় করে ব্যাচে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরায়। আইডিয়া স্পোকেন এর কোর্ডিনেটর নাবিলা সুলতানা দিশা বলেন, “আইডিয়া স্পোকেন হামিদুল স্যারের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। পুরো কোর্সের তিন মাসে আমরা শিক্ষার্থীদের উপর কোন রকম হোমওয়ার্ক বা গ্রামার মুখস্ত করার প্রেশার দিই না। বরং ওরা এসে খেলা করে। আমাদের ছোটবেলার খেলা গুলো কেই কনটেক্সচুয়ালাইজ করে তার ভেতর আমরা গ্রামারকে ঢুকিয়েছি। ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে খেলে। এখানে কিডস স্পোকেন ও টিন স্পোকেন শিরোনামে দুই ধরণের ব্যাচেই আমরা গেইমের মধ্যে দিয়ে ইংরেজি শেখায়।“ ২৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য বলে- “আমরা শুধু খেলায় করেছি, আর কখন যেন ইংরেজির ভয় দূর করে ফেলেছি।“ আরেকজন শিক্ষার্থী আলিফ বলে, “আগে মাইক্রোফোন ধরতেই হাঁটু কাঁপতো। বাংলায় ঠিকমতো গুছিয়ে বলতে পারতাম না, এখন ইংরেজিতে বিতর্ক করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ!”
আয়োজনে ২৭ ব্যাচের বিতর্কে “লাইফ ওয়াজ বেটার বিফোর স্মার্টফোন” বিষয়ে “শাইনিং স্টার” এবং “ওয়ার্ড ওরিওরস” শিরোনামে দুই দলের ক্যাপ্টেন যথাক্রমে রাইয়্যান তাসনিম অপ্সরা ও সামিহা নাজনিনের নেতৃত্বে পক্ষে ছিল যথাক্রমে ঐশ্বর্য্য, মারিয়া ও আব্দুল্লাহ এবং বিপক্ষে ছিল আলিফ, জাফর, আফিয়া। বিতর্কে জয়লাভ করেছে “সাইনিং স্টার” এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছে তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য।
বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক দীপ্তি মিত্র, আইডিয়া পিঠা পার্ক সমন্বয়ক সোমা খান এবং হিসাবী এইচ আর এডমিন মিতালি বালা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইডিয়া স্পোকেনের কোর্ডিনেটর নাবিলা সুলতানা।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)