Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒কারফিউ জারি

এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, নিহত ৪

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই , ২০২৫, ০৩:৩১:৪৫ এম

স্পন্দন ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ শহরে অন্তত চারজন নিহত হওয়ায় খবর রয়েছে। এরপর কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বুধবার রাত ৮টায় বলেন, “আমাদের এখানে চারজনের মরদেহ আনা হয়।”

নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম) খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

দুপুর থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর গুরুতর আহত ৩ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়।

বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

এদিকে, এরআগে সকাল থেকে হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের বিকট শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আতঙ্কে শহরের অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়ে।

এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধরা জারি করা হয়। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, “জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।”

গোটা শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সবশেষ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।

বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এসবের মধ্যে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জে আটকা পড়েন। তারা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

এ সময় শহরের পৌর পার্কের পাশেই জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয় বলে সেখানে দায়িত্বরত একজন সাংবাদিক জানান।

আরেকজন সংবাদকর্মী জেলা কারাগারে হামলার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ৪টার দিকে কারাগারের ফটকে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। কবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে হামলাকারীরা কারাগারের ভেতর যেতে পারেননি; কারাগারের কোনো আসামিও বাইরে আসতে পারেননি।

তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশস্থলের চেয়ারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সমাবেশ এলাকায় আগুন দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। তারা চৌরঙ্গী মোড়ে রয়েছেন। সেখানে প্রচুর লোকজন। তাদের হাতে লাঠি দেখা গেছে।

তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের পিছু হটানোর চেষ্টা করে। শহরে থমথমে পরিস্থিতি দেখা যায়।

এদিকে বিকালে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিকালে অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম) খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, “এনসিপির নেতা কর্মীরা গোপালগঞ্জ এসপি অফিসে আটকা ছিলেন। পরে সোয়া ৫টার দিকে ‘ক্লিয়ার’ হলে তারা চলে যান।”

কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের কোথাও কোনো হামলা বা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা না ঘটলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শহরে রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু হয়েছে। স্পর্শকাতর স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল চলছে।

রাত সাড়ে ৮টায় শহর মোটামুটি শান্ত দেখা গেছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহরে যান চলাচল নেই বললেই চলে। যে কয়েকজনকে রাস্তায় দেখা গেছে তারাও বাড়িমুখো। তাদের চোখে-মুখে আতঙ্ক দেখা গেছে।

রাত সাড়ে ৮টায় গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এখন শহর শান্ত আছে। হামলাকারীরা কোথাও কোথাও আছে। তবে পুলিশের সঙ্গে তারা মুখোমুখি অবস্থানে নেই।

সারাদিনের হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের ৩০ থেকে ৪০ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে পরিদর্শক বলেন, শহরে এখন মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বার্তায় জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি থাকবে।-বিডিনিউজ

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)