নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে জুলাই শহিদ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বৈষম্যহীন দেশ গড়তে ফ্যাসিবাদ সরকারকে জুলাইয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের মধ্যদিয়ে পতন ঘটানো হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের ১৬ বছরে দেশের মানুষকে অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। সেই অত্যাচার নির্যাতন থেকে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ থেকে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল। জনগণের দাবী ছিল বৈষম্যহীন দেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটেছে। সেই সাথে জনগণের দাবী পুরণ হয়েছে। তারা বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। আবু সাঈদ জীবন দিয়েছে এমন একটি সমাজ তৈরির জন্য, যেখানে বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু সমাজ থেকে এখনো বৈষম্য দূর হয়নি।
যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকালে শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত জুলাই শহিদ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই আলম সিদ্দিকী, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রসুল, লেখক ও গবেষক বেনজীন খান, শহিদ আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার, শহিদ ইমতিয়াজ আহমেদ জাবিরের পিতা নওশের আলী, শহিদ তৌহিদুর রহমানের পিতা আবদুল জব্বার মোল্লা, আহত জুলাই যোদ্ধা আহাদ হোসাইন, নাগরিক পার্টির সংগঠক মনিরুজ্জামান আজাদ, ছাত্র প্রতিনিধি আল মামুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌরপ্রশাসক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব সুজন সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহানুর রহমান সোহাগ।
আলোচনাসভা শেষে দোয়া মাহফিল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কালেক্টরেট মসজিদের মুয়াজ্জিন কারী রফিকুল ইসলাম।