Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

জীবননগরে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক রেখে নির্যাতন, ৯৯৯ ফোনে উদ্ধার

এখন সময়: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ১১:৫৫:২৩ এম

জীবননগর প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মারধরের ঘটনা ঘটে । ভুক্তভোগীরা সকলেই সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ক্লাসরুমের সামনে চলাচল নিয়ে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিংনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জিহাদের (১৬) সাথে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানিকপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রিপোন হোসেন , (১৫) ইস্তাজুল ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেন, (১৫) শামীম হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৫) ও সিংনগর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে রিয়াদ আফরোজ রানা (১৫) এবং রতিরামপুর গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম (১৬) এর সাথে বাকবিতণ্ডা হয় এবং সেটি ঘটনাস্থলেই উভয়ের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়।
সাব্বির হোসেন জানায়-বুধবার স্কুল ছুটি শেষে আমি বাড়ি ফেরার সময় জিহাদ হোসেন আমার রাস্তা আটকিয়ে হাসুয়া দিয়ে আমাকে মারতে আসে এই সময় সিংনগর গ্রামের আমিনুর নামের একব্যাক্তি বিষয়টি দেখতে পেয়ে তিনি আমাকে প্রাণে বাঁচায় এবং আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলে। পারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আরো বলেন (৪ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার আমরা সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম হোসেনের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় জিহাদের বাবা শহিদুল ইসলাম, জিহাদের বড় ভাই খাজু আমাদের তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের ঘরে প্রায় ২ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। শহিদুল ইসলাম, জিহাদ ও খাজু এরা তিনজন মিলে বড় হাসুয়া রড, বালধারা দিয়ে আমাদের মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দিতে থাকে। আমাদেরকে আটকিয়ে রেখেছে একথা আমাদের পরিবার জানতে পারলে ৯৯৯ ফোন দিলে জীবননগর থানা পুলিশ আসে আর আমাদেরকে নিয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করে আমাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ওই পাঁচজন শিক্ষার্থী আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল তখন ওই শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে এসে আমার বাসায় রাখি ওদের মারধর করা হয়নি। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদ হোসেন বলেন- রাত সাড়ে ১০টার সময় ৪ জন শিক্ষার্থী আসে ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো মাথায়, ডান হাঁটুর নিচে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন ছিল । আমরা চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ৯৯৯ এর ফোনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এবং তৎক্ষণাৎ আমাদের পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের হাত তুলে দেয়া হয়।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)